মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গবাদিপশু, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন, মোছা. সবেদা এবং তার সহযোগী শরিফন বেগম। সবেদা উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট কুটির গ্রামের মৃত সবেদ আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশু, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নাম করে সবেদা বেগম ও তার সহযোগী শরিফন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নেন। এ সময় ওই দুই নারী দাতা সংস্থা হিসেবে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের নাম প্রচার করেন।

ভুক্তভোগী জায়েদা বেগম জানান, সবেদা ও তার সহযোগী শরিফন বেগম বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে তাদের কাছে এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় এলাকার মানুষরা সরল বিশ্বাসে তাদের টাকা দেয়। থানাহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ও তার আশেপাশের এলাকার প্রায় ২’শ জন মানুষের কাছে গবাদিপশু, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নামে ব্যক্তিভেদে ১ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা করে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তিনি নিজেও একটি ঘর ও একটি গরুর পাওয়ার আশায় ২০ হাজার টাকা সবেদাকে দেন।

একই অভিযোগ করেছেন মেরিনা বেগম, রাধাবল্লভ শেখপাড়া এলাকার লাকী বেগম, ফাতেমা বেগম, আনোয়ারা, আছিয়াসহ অনেকে।

অভিযুক্ত মোছা. সবেদার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এসব টাকা নেই নাই। একজন মহিলা মানুষের পক্ষে কি এতো টাকা নেওয়া সম্ভব, আমি শরিফন বেগমের সঙ্গে ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। সে টাকা নিয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেউ এমনি এমনি অভিযোগ করে না, নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ঘটেছে। নাহলে সে ঢাকায় পালিয়ে গেল কেন?
সহযোগী শরিফন বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত দুই নারী কেউ সমাজসেবা অফিসের কর্মী নন। আর এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম করে যেহেতু টাকা নেওয়া হয়েছে, ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে আমি তদন্ত করবো। আমার অফিসের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সবেদা ও শরিফন বেগম অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। যেহেতু নগদ অর্থ লেনদেন হয়েছে তাই কোনো প্রমাণ নেই। আর প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়াও যাচ্ছে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com